নিজস্ব প্রতিবেদক:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলছড়ি ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির দ্বী-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মাদরাসা প্রাঙ্গণে একটানা ভোটগ্রহণ হয়।

এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা দেন প্রিজাইডিং অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম।

তার ঘোষণা মতে, নির্বাচনে চার পদে ভোট গ্রহণ হয়েছে। দাখিল শাখায় অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, জয়নাল আবেদীন, মনছুর আলম ও বশির আহমদ।

সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নুর আহমদ, মহিলা অভিভাবক পদে সুলতানা ইয়াসমিন সুষমা এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদে নুরুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে বিভিন্ন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধি (ইবতেদায়ী শাখা) মাওলানা শফিউল আজম আজমী, দাতা সদস্য মোঃ রেজাউল করিম ও অভিভাবক সদস্য (ইবতেদায়ী) জাফর আলম।

মাদরাসা সুপার পদাধিকার বলে সদস্য থাকবেন। নির্বাচিত কমিটি সবার পরামর্শক্রমে একজনকে শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের একজন সভাপতি নির্বাচিত হবেন।

মঙ্গলবার নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বিউটি রায় চৌধুরী।

মাহাবুবুল আলম পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ইমাম খাইর।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে চকরিয়া থানার এসআই ইমরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতায় অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হয়েছে। সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিক ভূমিকা রেখেছেন। নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ মাদরাসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন, এমনটি প্রত্যাশা প্রাক্তন ছাত্র পরিষদসহ সবার।

সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, মাদরাসায় দাখিল শাখায় মোট ভোটার ২৩৪। কাস্ট হয়েছে ১২৫টি। প্রতিষ্ঠাতা ভোটার ৫৮টি, শিক্ষক ভোটার ১৩ জন।